
মুসলিম উদ্দিন, উখিয়া ::
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের আমগাছ তলা এলাকায় চলন্ত গাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা চালায় একদল দুর্বৃত্ত।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ১টার দিকে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে একটি মিনি পিকআপ থামিয়ে ডাকাতি করতে গেলে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ধুরুমখালী উত্তর জনাব আলী পাড়া এলাকার সৈয়দের পুত্র গাড়ির হেলপার জাহাঙ্গীর (৩৮)। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসাইন জানান, “আমরা ঘটনার পরপরই অভিযান পরিচালনা করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
অতীতেও ঘটেছে ভয়াবহ ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ড-
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে, কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের একটি ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালায় উখিয়া থানা পুলিশ। অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুইজনকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের মো. ইলিয়াসের পুত্র মো. আয়াস (২১) ও কুতুপালং পশ্চিম পাড়া এলাকার জালাল আহমেদের পুত্র কফিল উদ্দিন (২৮)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি বন্দুক, কার্তুজ, ছুরি, দুটি ধামা দা ও লোহার পাইপ।
পরবর্তীতে অভিযান শেষে পুলিশ ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এছাড়াও গত ২৩ জুন গভীর রাতে উখিয়ার নিদানিয়া এলাকার নুরার ডেইলে একদল মুখোশধারী ডাকাতের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন। তার স্ত্রী বাদী হয়ে উখিয়া থানায় দণ্ডবিধির ৩৯৬, ৩০২, ৩৪ ধারায় মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, ডাকাত দলের নেতা শরিফ মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে নিহতের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতেন। সেখান থেকেই শত্রুতার শুরু, যা পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।
এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত শরিফ পূর্ব নুরার ডেইলের ওমর মিয়ার ছেলে এবং সহযোগী বাবুল, রত্নাপালংয়ের পশ্চিম রত্নার ছৈয়দ আলমের ছেলে।
স্থানীয়দের দাবি, “পূর্বের ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারো ডাকাতির চেষ্টা ও গুলির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশি টহল বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।”
পাঠকের মতামত